শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী করবেন
অনেক শিশু বাচ্চা কিছু কোষ্ঠকাঠিন্যতে আক্রান্ত। অনেকের আবার পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার জন্য আমাদের পরিবার দায়ী। বাচ্চাদের যদি সপ্তাহে ২-৩ বারের কম পায়খানা হয়,এবং পায়খানা করার সময় বাচ্চা যদি কান্না কাটি করে তাহলে তখন আমরা এইটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে থাকি।পায়খানা করার সময় অনেক ব্যথা করে। বাচ্চা যদি দু একদিন পায়খানা ইচ্ছা করে চেপে রাখে পরবর্তীতে পায়খানা কষা হয়ে থাকে । বাচ্চাদের পায়খানা কষা হওয়ার এক মূল কারণ খাবারের সমস্যা।
কি খেলে বাচ্চাদের পায়খানা নরম হবে
ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে । বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে অন্য কোন খাবার এর প্রয়োজন নাই । কারণ বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ খেলে প্রয়োজনীয় সব পরিমাণে প্রোটিন, মিনারেল,আমিষ পেয়ে থাকে।
অনেক পরিবার বাচ্চাকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাইরের আবার দিয়ে থাকে । এমনকি তারা গরুর দুধ খাওয়ায়ে থাকে।
ছয় মাস পর বাচ্চাকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়িতে খাবার যোগ করতে হবে। অনেকে আমরা সুজি খাওয়ায়। কিন্তু বাচ্চাকে আমরা আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়াই না। আশ জাতীয় খাবার যত আমরা কম খাওয়াবো বাচ্চা তত কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগবে।সুজিতে কার্বোহাইড রয়েছে।
ছয় মাস পরে বাচ্চাকে আমরা বাড়তি খাবার যখন দিই তখন অনেকে ডাল ভাত বা ভাত নরম করে দেয় । কিন্তু আমাদের জানা দরকার এই খাবারের মধ্যে বা এই খাবারের পাশাপাশি আমাদেরকে আমি জাতীয় খাবার রাখা দরকার।
কি খেলে বাচ্চাদের পায়খানা নরম হবে
৬ মাস পর বাচ্চাকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারের দিকে নজর দিতে হবে।বেশি করে ফাইবারযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।যেমন, শাক সবজি, ফল। কারণ আঁশ হল খাবারের সেই অংশ, যা পরিপাক হয় না এবং খাদ্যগ্রহণের পর অবশেষ হিসাবে মল তৈরি করে। খাদ্যের আঁশ অংশটুকু হজম না হওয়ার কারণে এগুলো পরিপাকতন্ত্রের বেশ কিছু জলীয় অংশ শোষণ করে ধরে রাখে এবং এই জলীয় অংশ-সহ ফাইবার মলের সঙ্গে বের হয়ে আসে। এই কারণেই ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে মল নরম হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
এছাড়া প্রোটিন খাবার খাওয়াতে হবে।১০ মাস বয়স পর্যন্ত ডিমের কুসুম খাওয়াতে হবে।এবং ১০ মাস পর পুরো ডিম খাওয়াতে হবে।ঘরে পাতা দই খেলেও অল্প পরিমানে খাওয়াতে হবে।
অনেক অভিভাবকদের ধারণা থাকে বাচ্চাদের এত ছোট বয়সে কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ খাওয়ালে পরবর্তীকালে তা অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। যার ফলে তাঁরা বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়াতে চান না কিংবা ওষুধ খাওয়ার ধারাবাহিকতা রাখেন না। কিন্তু তা একেবারেই ঠিক নয়। উপরন্তু এর ফলে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য আরও বেড়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য মানুষের প্রথম ও শেষ বয়সেই বেশি হয়। প্রথম বয়সে হয় পেটের পেশীর জোর কম থাকে বলে এবং শেষ বয়সে পেটের পেশীর জোর কমে যায় বলে। সাধারণত ছোট বয়সে চিকিৎসায় কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে গেলে তা বড় বয়স পর্যন্ত থাকে না। আবার বৃদ্ধ বয়সে হতে পারে।
নবজাতকের পায়খানা না হলে ঔষধ
২-৩ দিন ধরে মলত্যাগ না করলে গ্লিসারিন সাপোজিটারি ( ছোটদের সাইজ) একটা পায়ুপথে ঢুকিয়ে দিতে হবে।পাশাপাশি বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
বেশি সমস্যা হলে একজন বিশেষজ্ঞ শিশু ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
Comments
Post a Comment
Thank you