সিজেনল রোগ | Seasonal diseases prevention

সিজেনাল রোগ :

যেসব রোগ ঋতু পরিবর্তনের সাথে শুরু হয়ে আবার ঋতু পরিবর্তনের সাথে শেষ হয় সিজেনল রোগ বলে।যেমন কিছু কিছু রোগ আছে যা বর্ষাকালে বেশি হয় এবং শীতকালে বেশি হয়। 

কিছু কমন সিজনাল রোগের নাম :

১.ডায়রিয়া ২.কমন কোল্ড ও জ্বর ৩.টাইফয়েড, ৪.কনজেন একটিভিটিস. ৪.চিকেন পক্স, ৬.ডেঙ্গু, ৭.চিকেন গুনিয়া. 

বর্ষাকালে যেসব রোগ হয় : 

বর্ষাকাল সাধারণত জুলাই সেপ্টেম্বর মাস। বর্ষাকালে বৃষ্টির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি হয় এবং বৃষ্টির কারণে চারিদিকে বন্যা ও জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয় ।তাই  এইসব মাসের মধ্যে পানি বাড়িতে রোগ সবচাইতে বেশি দেখা যায়। যেমন:ডায়রিয়া,ডেঙ্গু,টাইফয়েড,কলেরা,হেপাটাইটিস এ,ডিসেন্ট্রি,কৃমি সংক্রমণ  ইত্যাদি। 

প্রতিকার

বর্ষাকালে ডেঙ্গু রোগ বেশি হয়, তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাই ফুলের টপ নারিকেলের খোসা সহ অন্য যেকোনো পাত্রে পানি যাতে জমে না সেদিকে খেয়াল রাখতে পারলেই ডেঙ্গু মশা বৃদ্ধি করতে পারবে না। অন্যদিকে মশার কামড় থেকে রক্ষার জন্য মশারি ব্যবহার করতে হবে। 

আমাদের সবাইকে পটানো পানি ও বিশুদ্ধ পানি খাবার খেতে হবে। 

বর্ষার দিনে আমাদের রেনকোট বা ছাতা ব্যবহার করতে হবে। 

ক্রিমির সংক্রমণ  বেড়ে যায় তাই ভালোভাবে হাত ধুয়ে খাবার খেতে হবে 

টাইফয়েডের ভ্যাকসিন নিতে হবে। 

আমাদের  স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। 

শীতকালীন কিছু রোগ:

শীতের সময় শুরু হয় নভেম্বরের মাঝামাঝি  থেকে শুরু হয়ে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলে। ঠান্ডা দিনগুলি গরমের আদ্রতা আবহাওয়া থেকে স্বস্তি দেয়। এই সময় তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়  ঠান্ডায়  রোগে আক্রান্ত বেশি হয়। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে ভাইরাস ব্যক্তি আক্রমণ করে। এ ধরনের অনুজীব কখনো কখনো আমাদের ইমুনিটি সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়। যেমন : 

কিছু কমন রোগ গুলোর মধ্য :

১.ঠান্ডা জ্বর, গিরে ব্যাথা,নিউমোনিয়া, গলা ব্যথা,ব্রংকাইটিস  

প্রতিকার ঃ

শীতের প্রতিদিন উষ্ণ গরম পানি বা যে কোন গরম পানীয় পান করতে হবে । যেমন- চা, কফি, স্যুপ, দুধ খাওয়া ভালো। তাতে শরীরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় ও বাইরের ঠান্ডা বাতাস কম ক্ষতি করে।

বেশী শীতে শুধু একটা কাপড় না পরে, একাধিক পোষাক পরিধান করা। এটা বেশী ঠান্ডায় সবচেয়ে কার্যকরী।

প্রতিদিন কিছু পরিমাণ কালোজিরা খাওয়া যেতে পারে। কালোজিরা প্রায় ৩০০ রোগের ওষুধ তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।

শীতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশী খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি ঠান্ডা লাগার প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।

প্রতিদিন খাবারে রসুন ব্যবহার করা। কারণ কাঁচা রসুন ঠান্ডা লাগা কমায়।

ঠান্ডা লাগলে বা কাশি হ’লে আদা ও লবঙ্গ অত্যন্ত কার্যকরী। আদা ও লবঙ্গের রস ঠান্ডা কাশি কমাতে সহায়ক। আদা ও লবঙ্গ দিয়ে চা খুবই কার্যকর।

শীতের সকালে-বিকালে নাক বন্ধ মনে হ’লে নাকে গরম পানির ভাপ নিলে উপকার হয়। উপকার বেশী পেতে হ’লে গরম পানিতে কিছু ফিটকিরির টুকরা দিয়ে গরম ভাপ নিলে নাক বন্ধ হওয়া কমে যায়।

সরিষার তেল শরীর গরম রাখে, যা ঠান্ডা লাগার প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।

শীতে পানি খাওয়া কম হয়। ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। সেকারণ প্রচুর পরিমাণে  গরম কসুম খাবার বেশী বেশী খেতে হবে।

শীতকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা দরকার।



Comments